ঠাকুর নিগমানন্দ

About ঠাকুর নিগমানন্দ

ভারতমেব অজিরং প্রাঙ্গণং বৈকুন্ঠস্য। ভারত বর্ষকে বৈকুন্ঠের প্রাঙ্গন বলা হয়। শ্রী ভগবানের প্রিয় বাসভুমি ভারতবর্ষ। তাকে দর্শন ও তার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খায় কত অবতার কত সদগুরু ভারতবর্ষে লীলা করার জন্য এসেছেন। ভারতবর্ষে জন্মলাভ ও মুক্তি লাভ দেবতাদের ঈস্পিত। বৈদিক যুগ থেকে আধুনিক কাল পযুন্ত কত না মহাপুরুষ ভারতবর্ষে জন্মগ্রহন করেছেন। দশ অবতার এসেছেন। শঙ্করাচার্য্য, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংস, গম্ভীরনাথ বাবা, নেপালী বাবা, অনন্তানন্দজী, গণপৎ গিরিজী, তৈলঙ্গস্বামী এবং আমার প্রাণ প্রিয় ঠাকুর নিগমানন্দ।
এই পবিত্র দেবভূমির পূর্বপ্রান্তে অবিভক্ত বাংলাদেশের নদীয়া জেলার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পূণ্য জন্মভূমি। মহাপ্রভূ শ্রীকৃষ্ণচৈতণ্যের আধ্যাত্মিক আদিত্যরশ্মিতে সারা ভারতবর্ষ আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তার প্রচারিত নাম সঙ্কীর্তনের বন্যায় বাংলা উরিশ্যা সহ পূর্ব ভারত ডুবু ডুবু হয়ে গিয়েছিল। তার প্রেমভক্তি মধুর জীবন দর্শনে মুগ্ধ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিল সত্যসুন্দর উচ্চ ভাবাদর্শে।
ঠাকুর নিগমানন্দ, নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুর গ্রামে মায়ের কোল আলো করে জন্মগ্রহন করেছিলেন অপুর্ব সাধনশক্তিসমন্বিত সদগুরু ঠাকুর শ্রীশ্রী নিগমানন্দ পরমহংসদেব হয়ে। রাধাকান্তপুর তার মাতুলালয়। তাঁর পিত্রালয় ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত কুতুবপুর গ্রামে।