Free website generator for mobile apps; privacy policy, app-ads.txt support and more... AppPage.net

About শ্রীমদভগবদগীতা (BhagavadGita) - অর্থ সহ

গীতা প্রতিটি মানুষের ধর্মশাস্ত্র- মহর্ষি বেদব্যাস।।
শ্রীকৃষ্ণকালীন মহর্ষি বেদব্যাসের পূর্বে কোন শাস্ত্র লিপিবদ্ধ ছিল না। শ্রুতজ্ঞানের এই পরম্পরা ভঙ্গ করে তিনি চার বেদ ব্রক্ষ্মসুত্র, মহাভারত, ভাগবত এবং গীতার মত গ্রন্থগুলিতে পূর্বসঞ্চিত ভৌতিক এবং আধ্যাতিক জ্ঞানরাশিকে সঙ্কলিত করে শেষে নির্নয় করলেন যে- সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ। সমস্ত বেদের প্রাণ, উপনিষদগুলিরও সার হল গীতা, যা গোপাল শ্রী কৃষ্ণ দোহন করে, অশান্ত জীবকে পরমআত্মার দর্শন এবং সাধনের স্থিতি, শাশ্বত শান্তির স্থিতি পযুন্ত পৌছিয়ে দেন।
গীতা উত্তমরূপে মনন করে হৃদয়ে ধারন করার যোগ্য, যা পদ্মনাভ ভগবানের শ্রীমুখনিঃসৃত বাণী, তাহলে অন্য শাস্ত্র সংগ্রহের কি প্রয়োজন?

অর্থাৎ একমাত্র শাস্ত্র গীতাই দেবকীপুত্র ভগবান শ্রীমুখে গায়ন করেছেন। প্রাপ্ত করার যোগ্য দেব একজন। সেই গায়নতে যে সত্য সম্বন্ধে বলেছেন, তা হল আত্মা। আত্মা ব্যতীত কিছুইশাশ্বত নয়। সেই গায়নতে মহাযোগেশ্বর কি জপ করতে বলেছেন? ওঁ। অর্জুন! ওঁ অক্ষয় পরমাত্মার নাম। ওঁ জপ কর ও ধ্যান আমার স্বরূপের কর। ধর্ম একটাই, গীতায় বর্ণিত পরমদেব একমাত্র পরমাত্মার সেবা। তাঁকে শ্রদ্ধাপূর্বক নিজের হৃদয়ে ধারণ কর। অতএব শুরু থেকেই গীতা আপনার শাস্ত্র। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাজার হাজার বছর পরে পরবর্তী যে মহাপুরুষগণ একমাত্র ঈশ্বরকে সত্য বলেছেন, তাঁরা গীতারই সংবাদবাহক। ঈশ্বরের কাছ থেকেই লৌকিক ও পারলৌকিক সমস্ত সুখের কামনা, ঈশ্বরকে ভয় পাওয়া, অন্য কাউকে ঈশ্বর না ভাবা—এ পর্যন্ত তো প্রত্যেক মহাপুরুষ বলেছেন; কিন্তু ঈশ্বরীয় সাধনা, ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যায়, এটা কেবল গীতাশাস্ত্রেই ক্রমবদ্ধভাবে সুরক্ষিত। গীতাশাস্ত্র অধ্যয়নে সুখ-শান্তি তো লাভ হয়ই, তার সঙ্গে এই শাস্ত্র অক্ষয় অনাময় পরমপদও প্রদান করে। প্রাপ্তির জন্য অধ্যয়ন করুন গীতার গৌরবপ্রাপ্ত টীকা যথার্থ গীতা।

যদ্যপি বিশ্বে সর্বত্র গীতা সমাদৃত, তথাপি এই শাস্ত্র কোন ধর্ম অথবা সম্প্রদায়বিশেষের সাহিত্য হতে পারেনি; কারণ প্রত্যেক সম্প্রদায় কোন না কোন কুরীতিতে জড়িত। ভারতবর্ষে প্রকাশিত গীতাশাস্ত্র বিশ্বের মনীষীদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। গীতাশাস্ত্র আধ্যাত্মিক দেশ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক গচ্ছিত গ্রন্থ। অতএব এই শাস্ত্রকে রাষ্ট্রীয় শাস্ত্রের সম্মান দিয়ে উঁচু-নীচু, ভেদভাব এবং কলহ-পরম্পরায় পীড়িত বিশ্বের সকল মানুষকে শান্তি প্রদান করার চেষ্টা করুন।

গীতা পড়ুন ভগবান কে জানুন-ভগবানের পথ অনুসরন করুন।।