শিব হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ তিন কারনের কারন, পরমেশ্বর- এটা তাঁর প্রণাম মন্ত্রেই বার বার উঠে এসেছে। তিনি জন্মরহিত, শাশ্বত, সর্বকারণের কারণ; তিনি স্ব-স্বরূপে বর্তমান, সমস্ত জ্যোতির জ্যোতি; তিনি তুরীয়, অন্ধকারের অতীত, আদি ও অন্তবিহীন।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে বলা হয়েছে –
"যদাহতমস্তন্ন দিবা ন রাত্রির্নসন্ন চাসচ্ছিব এব কেবলঃ।"
অর্থাৎ যখন আলো ছিল না, অন্ধকারও ছিল না; দিন ছিল না, রাত্রিও ছিল না; সৎ ছিল না, অসৎ ও ছিল না- তখন কেবলমাত্র ভগবান শিবই ছিলেন।
উল্লেখ্য বেদান্ত বৈদিক সনাতন ধর্মের ভিত্তি তথা বেদের শিরোভাগ; সম্পূর্ণ বেদান্তে শিব ব্যতীত কারো সম্পর্কে এভাবে বলা হয়নি। শুধুমাত্র শিবের ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে "শিব এব কেবলঃ"। সুতরাং সৃষ্টির পূর্বে একমাত্র শিবই বর্তমান ছিলেন। তিনিই লীলাচ্ছলে ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেন, বিষ্ণুরূপ ধারণ করে পালন করেন আবার রুদ্ররূপ ধারন করে সংহার করেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-হর তাঁরই সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের তিনটি রূপভেদ মাত্র। তাই এই তিন রূপের মধ্যে সত্বার কোন পার্থক্য নেই। তবু সনাতন রূপ পরম শিবরূপই মূলস্বরূপ।
শ্রীবিষ্ণুকে বলেন-
"অহং ভবানয়ঞ্চৈব রুদ্রোহয়ং যো ভবিষ্যতি।
একং রূপং ন ভেদোহস্তি ভেদে চ বন্ধনং ভবেৎ।।
তথাপীহ মদীয়ং শিবরূপং সনাতনম্।
মূলভূতং সদা প্রোক্তং সত্যং জ্ঞানমনন্তকম্।।"
(জ্ঞানসংহিতা)।
অর্থাৎ আমি, তুমি, এই ব্রহ্মা এবং রুদ্র নামে যিনি উৎপন্ন হবেন, এই সকলই এক। এদের মধ্যে কোনো ভেদ নাই, ভেদ থাকলে বন্ধন হত। তথাপি আমার শিবরূপ সনাতন এবং সকলের মূল স্বরূপ বলে কথিত হয়, যা সত্য জ্ঞান ও অনন্ত স্বরূপ।
ভগবান বিষ্ণু এবং তাঁর বিভিন্ন অবতারগণ সর্বদা শিব উপাসনাই করতেন। তাই শ্রীকৃষ্ণেরও আরাধ্য ছিলেন পরমেশ্বর শিব। ভগবান শিবের বরেই বিষ্ণু বা কৃষ্ণের ভগবত্বা। তাই হিন্দুধর্মের মূল স্তম্ভ ত্রিশক্তির (ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব) মধ্যে শিবই প্রধান । তিনি সমসাময়িক হিন্দুধর্মের তিনটি সর্বাধিক প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা) একটি রূপ। তাঁর বিশেষ রুদ্ররূপ ধ্বংস, সংহার ও প্রলয়ের দেবতা।
শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তাঁর তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহে শিব পূজা কে সর্বশ্রেষ্ঠও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়ে।
এই অ্যাপটিতে উলেখযোগ্য দরকারি সকল শিব মন্ত্র হল -
শিবের ধ্যান মন্ত্র
শবরূপমহাদেব ,নীলকণ্ঠ ও মহাকালের ধ্যান
প্রভু শিবের প্রনাম মন্ত্র
শিবের গায়ত্রী মন্ত্র
শিবের স্নান মন্ত্র
শিব অষ্টোত্তর শত নামাবলি
মহাদেবের ১০৮ নাম
শিব অষ্টোত্তর শতনাম স্তোত্রম
শিব সহস্র নাম স্তোত্রম
শিবস্তোত্র - স্বামী বিবেকানন্দ
শিব কবচম
শিবের আবাহন
ক্ষমা প্রার্থনা
শিব প্রাতঃস্মরণ স্তোত্রম্
অর্ধনারীশ্বরাষ্টকম্
উমা মহেশ্বর স্তোত্রম
কাল ভৈরবাষ্টকম
চংদ্র শেখরাষ্টকম
দারিদ্র্য় দহন শিব স্তোত্রম
বিল্বাষ্টকম
বিল্বাষ্টোত্তর শতনামাবলি
শিবনামাবল্যষ্টকম্
শিব পঞ্চাক্ষর স্তোত্রম্
শিবপঞ্চাক্ষরনক্ষত্রমালাস্তোত্রম্
কাশী বিশ্বনাথাষ্টকম
বিশ্বনাথ সুপ্রভাতং
লিঙ্গাষ্টকম
দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ স্তোত্রম্
শম্ভুস্তোত্রম্
শিব ভুজংগ প্রয়াত স্তোত্রম
শিব মন্গলাষ্টকম
শিব মহিম্না স্তোত্রম
শিব মানস পূজ
শিব ষডক্ষরী স্তোত্রম
শিবানংদ লহরি
শিবাষ্টকম
শিবাষ্টক-স্তোত্রম/ শিব কল্পতরু
শ্ৰীশিবতাণ্ডব-স্তোত্ৰম্
শিবাপরাধ ক্ষমাপণ স্তোত্রম
রুদ্রাষ্টকম
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র
মহামৃত্যুঞ্জয় স্তোত্রং
মৃতসঞ্জীবন স্তোত্রম্
বেদসার শিবস্তোত্রম্
নটরাজ স্তোত্রম্প
শুপত্যাষ্টকং
বৈদ্যনাথাষ্টকম্
শিবরক্ষাস্তোত্রং
হর হর মহাদেব
ওঁ নমঃ শিবায়
মহামন্ত্র সর্বপ্রথম ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রচিত কলি-সন্তরণ উপনিষদ্-এ উল্লিখিত হয়; যেটি কৃষ্ণ...
১৯ শতকে যে কয়েকজন ধর্ম মনিষী ছিলেন তাদের মধ্যে শ্রী শ্রী রাম...
পরমপুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী করুণার শিরোমণি। গ্রামে-গঞ্জে বাবার করুণাধারা নিয়ে অনেকেই পথ চলছেন।...
আপনাদের জন্যে এবারে এনেছি জীবনের প্রেরণা মূলক সনাতন ধর্মীয় বাণী । শুধু...
ভগবদ্গীতা (ভগবানের গান ) বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতা একটি ৭০০-শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।...
ভগবান শিবের মুখারবিন্দ থেকে বের হয়েছে এই শিবগীতা। পদ্মপুরাণে উল্লিখিত শিবরাঘব...
Frequently Asked Questions(FAQ)
Created with AppPage.net
Similar Apps - visible in preview.