শিবশক্তি ও মোক্ষদাত্রী শক্তিই কামাখ্যা নামে পরিচিত। কামাখ্যা পীঠে যোনিরূপিণী মহাবিদ্যা। তিনি বরদায়িণী আনন্দপ্রদা নিত্যা এবং মনাসম্পদ বৃদ্ধিকারিণী, তিনিই সকলের জননী এবং সকলের রমনীরূপে বিরাজমানা। তিনি স্থুলা, সূক্ষা এবং মঙ্গলময়ী মাতা। শিব তৃতীয় চক্ষুর আগুনে কামদেব ভস্ম হয়ে যাওয়ার পরে এই দেবীর কৃপাতেই তিনি পুনর্জীবন লাভ করেন। দেবী তাঁর দৃষ্টিপাতে আমাদের মনে কামের জন্ম দেন বলেই দেবীকে কামাখ্যা নামে অভিহিত করা হয়। কামাখ্যা খুব হেলা ভরে তাকালেও ভক্তের যে কোনো কামনা সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ হয়।
পুরাণে এবং তন্ত্রে কামাখ্যাকে উজ্জ্বল গাত্রবর্ণ সহ চতুর্ভুজা রূপে চোখে পড়ে। চার হাতে তিনি ধারণ করে থাকেন অঙ্কুশ, পাশ, পদ্ম এবং আখের ধনুক। কখনও একটি টিয়াপাখিকে তাঁর হাতের পদ্মের উপরে বসে থাকতে দেখা যায়। একটি পদ্মের উপরে উপবিষ্ট এই দেবী নানা আভরণে ভূষিতা থাকেন। এ ছাড়া একটি অর্ধচন্দ্রও শোভা পায় দেবীর মস্তকে।
কামাখ্যায়াং মহামায়াং যঃ পূজয়তি মানবঃ।
সৰ্বকামমিহ প্ৰাপ্য পরলোকে শিবাভবেৎ ৷
নাহি তৎসদৃশং কাৰ্য্যমন্যত্র ভুবি বিদ্যুতে ।
বাঞ্ছিতাৰ্থং নরো লব্ধ। চিরায়ু ভঁবতি ধ্রুবম্ ॥
কামাখ্যা মহামায়াকে যে ব্যক্তি কামাখ্যা পর্ব্বতে গিয়ে পূজা করে সে ইহলোকে সৰ্ব্বকামনা লাভ করে এবং পরকালে শিবত্ব লাভ করে । ইহার সদৃশ পৃথিবীতে আর কোন কাৰ্য্য নেই, ইহকালে
বাঞ্ছিতাৰ্থ লাভ করে দীর্ঘায়ু লাভ করে ।
কামাখ্যাই পরম তীর্থ, কামাখ্যা পরম তপস্যা, কামাখ্যা পরম ধৰ্ম্ম, কেবল শ্ৰীশ্ৰীকামাখ্যা দ্বারাই পরমগতি প্রাপ্তি হয় ।
মহামন্ত্র সর্বপ্রথম ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রচিত কলি-সন্তরণ উপনিষদ্-এ উল্লিখিত হয়; যেটি কৃষ্ণ...
১৯ শতকে যে কয়েকজন ধর্ম মনিষী ছিলেন তাদের মধ্যে শ্রী শ্রী রাম...
পরমপুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী করুণার শিরোমণি। গ্রামে-গঞ্জে বাবার করুণাধারা নিয়ে অনেকেই পথ চলছেন।...
আপনাদের জন্যে এবারে এনেছি জীবনের প্রেরণা মূলক সনাতন ধর্মীয় বাণী । শুধু...
ভগবদ্গীতা (ভগবানের গান ) বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতা একটি ৭০০-শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।...
ভগবান শিবের মুখারবিন্দ থেকে বের হয়েছে এই শিবগীতা। পদ্মপুরাণে উল্লিখিত শিবরাঘব...
Created with AppPage.net
Similar Apps - visible in preview.