ইসলাম ধর্মের কয়েকটি মৌলিক বিধান যাহা পালন না করিলে মুসলমান হওয়া যায় না
ইসলাম ধর্মের কয়েকটি মৌলিক বিধান যাহা পালন না করিলে মুসলমান হওয়া যায় না এবং ইসলামী সমাজ সংগঠন হয় না :
সুদ-ভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থা থাকিবে না। যেহেতু সুদের পরিমাণ যাহাই হোক না কেন উহা ইসলামে হারাম বা অবৈধ। এর মূল কারণ হইল ইসলামী সমাজ শোষণহীন একটি সমাজ। সুদ শোষণের একটি হাতিয়ার।
বণ্টন-সাম্য অবশ্য থাকিে ত হইবে। কারণ জন্মগতভাবে সবার বাঁচার অধিকার সমান। ইসলামী ব্যবস্থার যে সমাজতান্ত্রিক রূপ অঙ্কিত করা আছে তাহা বর্তমান বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা হইতে সর্বদিকে অনেক অনেক উন্নত। অবশ্য একথা সত্য যে, ইসলামিক ব্যবস্থা কোন কালেই প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে নাই। রসুলাল্লাহ উহা প্রতিষ্ঠা করার সকল আয়োজন সমাপ্ত করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার জীবদ্দশায় উহা সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করিয়া যাইতে পারেন নাই। ভবিষ্যতে তাহা প্রতিষ্ঠা করার যোগ্য নেতা বা প্রতিনিধি ও তাঁহার সমর্থক দল তৈরী করিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার দেহত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই জনগণ সেই নেতৃত্ব অমান্য করিয়া ইসলামিক বিধি-বিধান সমাজে প্রতিষ্ঠিত করিল না। নিজেদের স্বেচ্ছাচারী শাসন প্রতিষ্ঠার কাজে মত্ত হইয়া গেল। তেইশ বছরের খেলাফতের পর রসুলের মনোনীত নেতা ঘটনাচক্রে ক্ষমতায় আসিলেও জনগণের সমর্থনের অভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিতে তিনিও পারেন নাই। তাঁহাকে নিহত করিয়া তাঁহার প্রচেষ্টার ইতি টানা হইয়াছিল। এই কারণেই ইসলামী রাষ্ট্রের কোন দিকেরই একটি বাস্তব প্রতিষ্ঠিত নিদর্শন দেখান সম্ভব হইয়া উঠে নাই। এই কারণে কোরানে লিখিত ইসলামিক রাষ্ট্রের নিদর্শন ছাড়া বাস্তব কোন নিদর্শন দ্রষ্টব্য হিসাবে অর্থাৎ উদাহরণরূপে জগতে নাই। (দ্রষ্টব্য ঃ প্রবন্ধ শেষে “বণ্টন-সাম্য”)
রাজতন্ত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। কোরানে আল্লাহকেই মানুষের রাজা বলিয়া ঘোষণা করিতেছেন। রাজতন্ত্র বলিতে আমরা মানুষের একনায়কত্ব বুঝি, তাহা বংশগত একনায়কত্ব হউক বা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত একনায়কত্ব হউক। এইরূপ একনায়কত্ব ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ ও তাঁহার রসুলের প্রতিনিধি স্থানীয় মোমিনের এক নায়কত্বই হইল কোরানের ব্যবস্থা। কারণ মোমিনের শাসন আল্লাহরই শাসন। আল্লাহর ইচ্ছা সমাজে কার্যকরী করিয়া তুলিবার মত ধারা বুঝিবার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাই এবং উহার প্রতি তাহাদের শ্রদ্ধাবোধও থাকে না। থাকে শুধু মোমিনের।
ইসলামে ব্যক্তি মালিকানা থাকিবে না, যেহেতু মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহর মেহমানরূপে মানুষের ভোগের অধিকার রহিয়াছে মাত্র। এইজন্য ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করিতে চাহিলে উহার সার্বভৌমত্ব আল্লাহর জন্যই ঘোষণা করিতে হয়। পরিচালকগণ ধন-সম্পদের ব্যবস্থাপক মাত্র। সকল ব্যবস্থাপনার মূল উৎস আল্লাহ হইতে আসিবে। তিনটি শাখা বা উৎস হইতে এই সার্বভৌমত্ব আত্মপ্রকাশ করিবে, যথা ঃ আল্লাহ, রসুল এবং উলিল আমর। নবীর জাহেরী অনুপস্থিতিতে সর্বযুগে নবীর মনোনীত রসুল, এবং নবী-রসুলগণের মনোনীত উলিল আমরগণ শাসন বিষয়ে পূর্ণ অধিকারপ্রাপ্ত হইয়া থাকিবেন।
আসলেম থেকেই মুসলিম শব্দের উৎপত্তি। আসলেম বা আত্মসমর্পণকারীকে মুসলিম বলে। সমর্পণের ধর্মের...
ত্রিত্ববাদ হইল স্বর্গীয় সকল ধর্ম বিধানের মূল উৎস। ইহা আল্লাহর কেতাবের কর্মকা-...
আখেরী চাহার শুম্বাপারসী ভাষায় ইহার অর্থ “শেষ বুধবার”। ইহা নবী জীবনের শেষ...
In the process of explaining the Quran Mr. Maudoodi is one of...
সংকেতগুলির অর্থ নিম্নরূপالٓــمّٓ= আলে মিম (অর্থাৎ অনন্ত মোহাম্মদের অনন্ত বংশধর)আল এবং মিম...
ফেনী জেলার দাগনভুইয়া থানার বারাহীগুনি গ্রামে আমাদের মোর্শেদ ক্বেবলার যে রওজা স্থাপিত...
Created with AppPage.net
Similar Apps - visible in preview.