“প্রজ্ঞার মসজিদ” ব্যতীত সকল মসজিদই “বাইতুল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহর ঘর।
জেরুসালেমে অবস্থিত বাইতুল মোকাদ্দাসকে “মসজিদুল আকসা” বলা হইয়াছে। ক্বাবা ঘরকে “বাইতুল হারাম”, “মসজিদুল হারাম” এবং “বাইতুল আতীক” রূপে উল্লেখ করা হইয়াছে। এই উভয়কে আমরা “বাইতুল্লাহ”ও বলিয়া থাকি।
“প্রজ্ঞার মসজিদ” ব্যতীত সকল মসজিদই “বাইতুল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহর ঘর। “বাইতুল্লাহ” কথাটি কোরানে উল্লিখিত নাই। ঘরের নাম এবং ইহাকে কেন্দ্র করিয়া নির্দিষ্ট করা এলাকার নাম “হেরেম”।
আল্লাহতা’লা স্থানে বা কালে কোথায়ও সীমার মধ্যে আবদ্ধ নহেন। আমরা যে, “আল্লাহর ঘর” বলিয়া থাকি তাহা আল্লাহর “বসতির ঘর” হিসাবে বলি না। মানুষের প্রার্থনার উপযুক্ত স্থান হিসাবে আল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত গৃহ হিসাবেই আমরা ক্বাবাকে “আল্লাহর ঘর” বলিয়া থাকি। ইব্রাহিমের (আঃ) প্রার্থনার ফলে এই গৃহকে আল্লাহতা’লা প্রার্থনার একটি বিশিষ্ট স্থান হিসাবে গ্রহণ করিয়াছেন। কাজেই “আল্লাহর ঘর” অর্থ আল্লাহর অনুমোদিত ঘর।
ক্বেবলা অর্থ লক্ষ্য নির্ধারকÑলক্ষ্যে পৌঁছিবার জন্য উপলক্ষ্য বা মাধ্যম। যে দিকে মুখ করিয়া আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা পালন করা হয় তাহাকে ক্বেবলার দিক বলা হয়। আনুষ্ঠানিক ধর্ম পালন বিষয়ে রসুলাল্লাহ (আঃ) জেরুসালেমে অবস্থিত “মসজিদুল আকসা” অর্থাৎ “দূরতম মসজিদ”কে তাঁহার উম্মতের ক্বেবলারূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন। মদিনায় হিজরত করার সাড়ে ষোল মাস পরে আল্লাহতা’লা মসজিদুল হারামকে ক্বেবলা করিতে নির্দেশ দান করেন।
এই নির্দেশের দ্বারা ক্বেবলা পরিবর্তন করা হয় নাই। বরং দুই ক্বেবলার স্বীকৃতি বা হাক্বীকত প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছে। ১. নিকটবর্তী ক্বেবলা ২. দূরবর্তী ক্বেবলা।
রসুলাল্লাহ (আঃ) হইলেন “ইমামুল ক্বেবলাতাইনে” অর্থাৎ “দুই ক্বেবলার ইমাম”। কাজেই তাঁহার উম্মত হিসাবে এই উভয় আমাদের ক্বেবলা।
হাক্বীকতে ক্বেবলা মূলতঃ এক। আল্লাহর নূর যেখানে বিকশিত হয় অর্থাৎ নূরে মোহাম্মদীর বিকাশ যেখানে হইয়া থাকে উহাই প্রকৃত ক্বেবলা। এইজন্য কোরানে বলিতেছেন (২:১৭৭) “পূর্বে অথবা পশ্চিমের ক্বেবলার দিকে মুখ ফিরাইবার মধ্যে কোন কল্যাণ নাই, বরং কল্যাণ রহিয়াছে ঈমান এবং সৎ আমল ইত্যাদি অভ্যাসের দ্বারা নফসের আমিত্ব বিনষ্ট করিয়া উহাকে পরিশুদ্ধ করিয়া তোলার মধ্যে।” অবশ্য ঐক্যবদ্ধভাবে অনুষ্ঠান ধর্ম পালনের জন্য নির্দিষ্ট ক্বেবলার প্রয়োজন হইয়া থাকে। “মসজিদুল হারাম” বর্তমান উম্মতে মোহাম্মদী মুসলমানদের এই ক্বেবলা।
মানসিক একাগ্রতার বাস্তব নির্দেশক ক্বেবলাকে সহায়ক নির্দেশকরূপে গ্রহণ করিতে হইবে। কর্মজীবনের বহুমুখী ব্যবস্থা অবলম্বনের মধ্যে ইহাকেও একটি বিশেষ অবলম্বনরূপেই গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। ইহা জীবনের লক্ষ্য নয় উপলক্ষ্য। আপন গৃহে ফিরিয়া যাওয়াই হইল লক্ষ্য। পথের কালিমা ঝাড়িয়া ফেলিয়া পবিত্র ও পরিশুদ্ধ হইয়া গৃহে ফিরিয়া যাওয়াটাই হইল আমাদের আসল লক্ষ্য।
Qibla is a material form of mental attention. Kaba is one of the many games of life but it is not the aim of life. Aim is the return to Home. To return Home as fresh as ever neither untarnished nor unvarnished.
আসলেম থেকেই মুসলিম শব্দের উৎপত্তি। আসলেম বা আত্মসমর্পণকারীকে মুসলিম বলে। সমর্পণের ধর্মের...
ত্রিত্ববাদ হইল স্বর্গীয় সকল ধর্ম বিধানের মূল উৎস। ইহা আল্লাহর কেতাবের কর্মকা-...
আখেরী চাহার শুম্বাপারসী ভাষায় ইহার অর্থ “শেষ বুধবার”। ইহা নবী জীবনের শেষ...
In the process of explaining the Quran Mr. Maudoodi is one of...
সংকেতগুলির অর্থ নিম্নরূপالٓــمّٓ= আলে মিম (অর্থাৎ অনন্ত মোহাম্মদের অনন্ত বংশধর)আল এবং মিম...
ফেনী জেলার দাগনভুইয়া থানার বারাহীগুনি গ্রামে আমাদের মোর্শেদ ক্বেবলার যে রওজা স্থাপিত...
Created with AppPage.net
Similar Apps - visible in preview.