নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতি। পুরুষের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে এবং নারীকে অবহেলিত করে আদর্শ সমাজ গঠিত হতে পারে না। পুরুষের ভূমিকার পাশাপাশি নারীরও সমৃদ্ধ দেশ এবং সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম আল ইসলাম যা নারীকে মর্যাদার শীর্ষাসনে সমাসীন করেছে। ইসলাম-পূর্ব যুগে নারীকে সবচেয়ে অবহেলা করা হতো এবং কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ অপমানের কারণ মনে করে জীবন্ত প্রোথিত করা হতো।১ তাদেরকে ভোগের পণ্য মনে করে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো। অতঃপর ইসলাম নারীকে এ দুরবস্থা থেকে উত্তরণ করে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসলাম নারী-পুরুষের অধিকারের ক্ষেত্রে সমতা আনয়ন করেছে। যেমন আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২২৮ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেছেন, “নারীর জন্য সমতার ভিত্তিতে ঠিক সেই ধরনের অধিকারসমূহ রয়েছে তাদের ওপরে উপরন্তু পুরুষের জন্য রয়েছে তাদের ওপরে দায়িত্বের একটি ঊর্ধ্বতন পর্যায়। সর্বোপরি আল্লাহ মহাশক্তিমান ও প্রজ্ঞাময়।”২ উক্ত আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, পুরুষ ও নারীর পরস্পরের উপরে অধিকারসমূহ সমান্তরাল। কুরআন ও হাদিসের অন্য কোন স্থানে এর ব্যতিক্রম কিছু বলা হয়নি। তবে এই আয়াতে আরও একটি কথা বলা হয়েছে, নারীর ওপরে পুরুষের এক ধরনের প্রাধান্য রয়েছে। ইহা আরও স্পষ্টভাবে বুঝার জন্য কুরআনুল কারিমের সূরা আন নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “পুরুষ-নারীদের ওপর কর্তৃত্বশীল। তা এই কারণে যে আল্লাহ তাদের একজনকে অন্যজনের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং আরও একটি কারণ যে পুরুষ তার জন্য সম্পদ ব্যয় করে।”৩ আয়াতে স্পষ্টভাবে এ দু’টি কথা বলা হয়েছে। যেহেতু নারী আপাদমস্তক কোমলমতি সেহেতু আল্লাহ নিজেই নারীর জন্য পুরুষকে রক্ষক ঘোষণা করেছেন। দ্বিতীয়ত, নারীর যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষকে দিয়েছেন। এছাড়া সামগ্রিকভাবে আল্লাহতায়ালা নারী-পুরুষের অধিকার সমান ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সকল ক্ষেত্রে একই সমান নয় কোন কোন ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষকে বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে উভয়ের অধিকার সমান সমান বলা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে কিছু জ্ঞানপাপী বু্িদ্ধজীবী ও পশ্চিমা মদদপুষ্ট প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ভারতীয় পদলেহী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নারীকে সমান অধিকারর নামে তাদের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে। একদিকে ইসলাম তাদেরকে ঠকিয়েছে বলছে এবং পুরুষকে নারীর সহযোগী মনে না করে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিদ্বেষভাবাপন্ন করছে। এতে পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহাবিপর্যয় ঘটছে। আবার উত্তরাধিকার বা মিরাসি আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সরাসরি কুরআনবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে যা প্রত্যেকটি নর-নারীর জন্য অমঙ্গলজনক। তাই কুরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামে নারীর অধিকার বা সমানাধিকার সংক্রান্ত আলোচনা করা হলো।
জুমার দিনে কোন সময়ে দোয়া কবুল হয়এই দোয়া কবুলের যে সময়গুলো,...
✪ আমি ব্যার্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমিচেষ্টা না করাকে মেনে...
লজ্জা নারীর ভূষণ হলেও পৃথিবীতে লাজুক বা মুখচোরা ছেলে কিন্তু একেবারেই কম...
সৃজনশীল কাজে আপনার আগ্রহ থাকলে আপনার বেকার বসে থাকার সুযোগ নেই। বুটিক...
সারা দিন, দিনমান, অহোরাত্র। তাই মা দিবস অর্থ দাঁড়ায়, মার জন্য একটি...
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ছিলেন?উত্তরঃ আল্লাহর সর্বশেষ এবং...
Created with AppPage.net
Similar Apps - visible in preview.