কবি সাহিত্যিক পরিচিতি Poets and writers Bangla

About কবি সাহিত্যিক পরিচিতি Poets and writers Bangla

“কবি সাহিত্যিক পরিচিতি”(Poets and writers Bangla) ব্যাপারটা এতোটাই বিশাল, যে পুরো জীবন ব্যায় করেও হয়তো পৃথিবীর সমস্ত কবি সাহিত্যিক এবং তাদের সৃষ্টির সাথে পরিচিত হওয়া সম্ভব নয়। শুধু যদি বাংলা কবি সাহিত্যিক পরিচিতির বিষয়টি ধরি সেটাও কম নয়। হাজার বছরেরও বেশি বাংলা সাহত্যের ইতিহাস ধারণ করে অগনিত গুনি কবি,সাহিত্যিক। যাদের সৃষ্টি পৃথিবীর সাহিত্য সহ বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে বহুগুনে। বাঙ্গালী স্বত্তাকে বিকশিত করতে যেমন বাংলা কবি সাহিত্যিক এবং তাদের সৃষ্টির সাথে পরিচিত হওয়া জরুরি তেমনি বিভিন্ন চাকুরীর প্রস্তুতি, বিসিএস প্রস্তুতির জন্য অপরিহার্য। বাংলা ভাষার ইতিহাস এবং সাহিত্য এতটাই সমৃদ্ধ যে বর্তমান বিশ্বের একটি অন্যতাম সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রময় সাহিত্যধারা হিসাবে পরিগনিত হয়ে থাকে।

Bangla Literature contain versatile Poets and authors, they gives lots of remarkable literature and poems. So this is not very easy to know about them quickly. Our “kobi shahitik porichite” app gives you to opportunity to known about Bangla famous Poets and writers easily and quickly. let’s download our app from google play store for free.

হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত। আদিযুগ বা প্রচীন যুগ (৬৫০ খ্রি. থেকে ১২০০ খ্রি.) মধ্যযুগ(১২০১ খ্রি. থেকে ১৮০০ খ্রি.) আধুনিক যুগ(১৮০১ খ্রি. থেকে বার্তমান)। আদিযুগ বা প্রচীন যুগে বংলা সহিত্যের পুরোধা সান্ধারন নন্দী, জয়দেব, উপমতিধর এবং গোবধন আচার্যদের হাতে ধরেই সৃষ্টি হয়েছে রামচরিত, চর্যাপদ এর মতো সাহিত্য কর্ম। চর্যাপদই বাংলা সাহিত্যের সব থেকে আদি এবং স্বীকৃত সাহিত্য নিদর্শন। সব থেকে মজার ব্যাপার কবি জয়দেব, উমাপতিধর, ধোয়ী শরণ এবং গোবর্ধন আচার্য ছিলেন খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু চারজনই বাংলার নবদ্বীপের রাজা লক্ষণসেনের রাজসভার সভ্য ছিলেন। লক্ষণসেনের পঞ্চরতেœর সদস্য ছিলেন এই চার কবি।

বাংলা সাহিত্যের আদিযুগ যেমন বৈচিত্রময় আর সমৃদ্ধ, মধ্যযুগ ছিল ঠিক তার বিপরীত। একে বাংলা সাহিত্য গবেষকরা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলে থাকেন। এ সময়ে বাংলা সাহিত্যের তেমন কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না। অনেকেই এই সময়কালটা ধরে অনেক গবেষনা করেছেন কিন্ত কেউই অন্ধকার দূর করতে পারেনি। সাহিত্য পন্ডিত ওয়াকিল আহমদ তার “বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত” (পৃ:১০৫)- এ লিখেছেন- “বাংলা সাহিত্যের কথিত অন্ধকার যুগ মোটেই সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের যুগ ছিল না। ধর্ম- শিক্ষা শিল্প চার্চার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত ছিল, তারা সীমিত আকারে হলেও শিক্ষা সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে, কি হিন্দু কি মুসলমান কেউ লোকভাষা বাংলাকে গ্রহণ করেননি। বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন না থাকার এটাই মূখ্য কারণ”। তবে এ সময়ের সাহিত্য নিদর্শন পাওয়া যাবে “প্রাকৃত পৈঙ্গল” সংকলন গ্রন্থে তাছাড়া রামাই পন্ডিত এর “শূন্যপুরান”, হলাযূধ মিশ্র-ও ডাক ও খনার বচন গ্রন্থে।

১৭৬০ খ্রি. ভারত চন্দ্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সূচনা হয়, যদিও বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ নিয়ে সাহিত্য পন্ডিতদের ভেতরে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। আধুনিক যুগেই শুরু থেকেই একটু একটু করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। এই পরিবর্তন এসেছে বাঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন মীর মশাররফ হোসেন, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, জীবনান্দ দাশ, হুমায়ূন আহমেদ, আল মাহমুদ এর মতো কবি সাহিত্যিকদের হাত ধরে। আধুনিক যুগে বাউল এবং লোক সাহিত্য ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করে, লালন শাহ্ ছিলেন এদের ভেতরে শেষ্ঠ বাউল কবি। বাংলা কবি সাহিত্যিক গনদের ভেতরে এক মাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের নোবেল পুরুষ্কার লাভ করেন। বার্তমানে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা উৎকর্ষের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিশেষ অবধান রাখার জন্য কবি সাহিত্যকদের “বাংলা একডেমী পুরস্কার” দিয়ে থাকে।

আর বর্তমানে ব্যাংক জব, বিসিএস পরিক্ষা সহ বিভিন্ন চাকুরীর পরিক্ষায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা ভাষার ইতিহাস থেকে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন হয় হরহামেশা, তাই যে কোন চাকুরী প্ররিক্ষার প্রস্তুতি বা বিসিএস প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বাংলার কবি সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জান এবং তাদের সৃষ্টি সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের “কবি সাহিত্যিক পরিচিত” এ্যাপটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

- বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ন কবি ও সহিত্যিকদের পরিচয় ও সৃষ্টি সম্পর্কে জানার সুযোগ।
- বিসিএস, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ব্যাংক জব সহ যে কোন চাকুরী পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে অ্যাপটি কার্যকরী।


https://play.google.com/store/apps/details?id=com.kadersapp.kobi_and_sahittik_info